শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তাদের প্রথম রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আক্রান্ত ব্যক্তি ৫০ বছর বয়সী এবং ওয়াশিংটনের বাসিন্দা ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় মারা যাওয়া ৭৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জাপানে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজের যাত্রী ছিলেন। রোববার পার্থের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু রবার্টসন জানান, মৃত ব্যক্তির স্ত্রীও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
একজন যাত্রীর মাধ্যমে প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।
অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে আনা ১৬০ জনের মধ্যে ওই দম্পতি ছিলেন। দেশে ফেরার পথে ফ্লাইটে তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের আলাদা করে ফেলা হয় এবং ২১ ফেব্রুয়ারি পার্থ হাসপাতালে আলাদা ইউনিটে রাখা হয়। বাকি যাত্রীদের উত্তরাঞ্চলের শহর ডারউইনের খনিশ্রমিকদের সাবেক শিবিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত মার্কিন ব্যক্তি সিয়াটলের কাছাকাছি কির্কল্যান্ডের এভারগ্রিনহেলথ হাসপাতালে মারা যান। ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য বিভাগের রোগ সংক্রামক ইউনিটের প্রধান জেফরে ডাচিন বলেছেন, ওই ব্যক্তি কীভাবে ভাইরাসটির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কির্কল্যান্ডে আরও দুজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত অনুমান করে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যসেবায় রাখায় হয়েছে। সেখানে আরও ৫০ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জে ইনস্লি। তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বাসিন্দাদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে তাদের প্রস্তুতি আরও জোরদার করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তি কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত। এর মধ্যে বেশির ভাগ চীনফেরত। তবে ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন ও ওরিগনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চীনের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
এদিকে ফ্রান্সের মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে জনসমাবেশে লাগাম টানার পাশাপাশি হাফ-ম্যারাথনও বাতিল করা হয়েছে। রোববার হওয়ার কথা ছিল এই প্রতিযোগিতা।
ফ্রান্সে চার দেওয়ালের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে যে এলাকায়, সেই প্যারিসের উত্তরাঞ্চলে সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।